Play all audios:
রান্না অত্যন্ত শৈল্পিক একটি বিষয়। অনেক এটিকে শখ বা বাধ্য হয়ে পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেন। তবে সর্বতোভাবে এটি বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় একটি অনুসঙ্গ। আমরা বাঁচার প্রয়োজনে খাই আর খাওয়ার প্রয়োজনে
রান্নার সঙ্গে যুক্ত হই। রান্নাকে অনেক সময় গবেষণার একটি অংশও বলা যায়।
এবার আসি বিয়ের কথায়। বিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধর্মীয়ভাবে বিয়ে বাধ্যতামূলক আর সামাজিকভাবে এটি একটি প্রথা। কিন্তু সবার আগে বিয়ে হচ্ছে দুটি পরিবারের ব্যক্তিগত
সম্পর্ক। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বিয়ে হচ্ছে দুইজন মানুষের অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, যাতে সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত নগন্যই বলা যায়।
একটি বিয়ের ভেতরের সব ধরনের আচার-আচরণ বা নিয়মনীতিতে সবসময় সমাজের নাক গলানোর তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। বিয়ে নামক বিষয়টির উদ্দেশ্য কি কি অথবা বিয়ের জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনায়
যাচ্ছি না। তবে এটি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, কিছু মানুষ যেকোনো কারণেই হোক বিয়েকে দিন দিন সুন্দর প্রথার চাইতে অতি পরিমাণে সামাজিক করে তোলার কাজে ব্যস্ত। তবে রান্নার সঙ্গে আসলে বিয়ের সম্পর্কটা
কোথায়, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে।
আবার কোনো ছেলে নিজের প্রয়োজনে বা শখের বশে অথবা অন্য কোনো কারণে রান্না করলে তথাকথিত সমাজের কাছে তা অত্যন্ত অস্বাভাবিক মনে হয়! যদিও এসব ধারণা কিছু ক্ষেত্রে বদলাচ্ছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে তা আগের
মতোই সমাজে গেঁড়ে বসে আছে! তবে ব্যক্তিগতভাবে এসব চিন্তাধারা আমার অত্যন্ত অমূলক বলেই মনে হয়। রান্না একটি সার্বজনীন প্রক্রিয়া, রান্না আর যাইহোক, কোনোভাবেই বিয়ের যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না।
রান্না এমন কোনো কঠিন বিষয় নয়, যা বিশাল আয়োজন করে শিখতে হবে ও সমাজকে মাইকিং করে জানাতে হবে যে ‘আমি রান্না পারি’! এটি সত্য যে, রান্নার কিছু ধরণ আছে, যা হাতেকলমে দীর্ঘ দিন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে
শিখতে হয়। তবে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তির ইচ্ছা অথবা পেশাদারি প্রয়োজনে হতে পারে। বেঁচে থাকার জন্য রান্না শিখার প্রয়োজন হলে সময়মতো কিছু দিন রন্ধন প্রক্রিয়া চলাকালীন রান্নাঘরে উঁকি দেওয়াই যথেষ্ট!
পরবর্তী সময়ে না হয় নিজের মতো গবেষণা করা যাবে!
সবশেষে বলা যায়,রান্না করতে পারা যেমন গর্বের কোনো বিষয় নয়। আবার রান্না করতে না পারাটাও তেমন কোনো দোষের নয়।