Play all audios:
নদীতে রাতের আঁধারে কীটনাশক ঢেলে মাছ শিকার নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদীতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে
মৎস্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি দফতরে অভিযোগ করেছেন হারুন নামের এক মৎস্যজীবী। স্থানীয়রা জানান, বদলগাছীর ছোট যমুনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন জাবারীপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা। চৈত্র মাসে
ওই নদীর পানি কমে এসেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাবারীপুর গ্রামের প্রভাবশালী মোজাম্মেল, ছালাম, বাদেশ, মিলন, ইদ্রিস, সানোয়ার ও সুমনসহ ১০-১২ জন নদীর ওই অংশে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার
করছিল। এ সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আব্দুল আলিম তাদের ধরতে গেলে অধিকাংশই পালিয়ে যান। কিন্তু সুমন নামে একজন তার হাতে ধরা পড়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুচলেকা নিয়ে সুমনকে ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে
গ্রাম পুলিশ আব্দুল আলিম বলেন, ‘বুধবার রাতে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ১০-১২ জন লোক কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছিল। এ সময় ধাওয়া করলে অধিকাংশই পালিয়ে গেলেও জাহিদুলের ছেলে সুমনকে ধরে ফেলি। সুমন
স্বীকার করে মোজাম্মেলের নেতৃত্বেই কীটনাশক প্রয়োগ করে ছালাম, বাদেশ, মিলন, ইদ্রিস ও সানোয়ার মাছ শিকার করছিল।’ এই গ্রাম পুলিশ আরও বলেন, ‘বিষয়টি মৎস্য অফিসেও জানিয়েছি। এ কারণে মুনির উদ্দিনের
ছেলে মোজাম্মেল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের সামনে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।’ জাবারীপুর গ্রামের মৎস্যজীবী হারুনসহ কয়েকজন বলেন, ‘নদীতে মাছ শিকার করে আমাদের সংসার চলে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় অনেকটা
কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাতের অন্ধকারে নদীর দহে কীটনাশক প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সেখানে দেশীয় প্রজাতির সব মাছ মরে গেছে। আমাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে
পড়বে।’ এ ব্যাপারে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।’ এ সময় সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। বদলগাছী
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা গুরুতর অন্যায়। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান আগেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ায় আমার আর
কিছু করার নেই। তবে একটি সাধারণ মামলা করা যেতে পারে।’ বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বিষয়টি অবগত না বলে জানান।